শান্ত লালমনিরহাটে আবারও ছড়াচ্ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। রোববার (২৯ অক্টোবর) বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে লালমনিরহাট সদর উপজেলা লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটে।
বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলু ওরফে দুলুকে প্ররোচনাদানকারী হিসেবে অভিযোগ করা হয়েছে।
নিহত হওয়ার ঘটনায় অভিযোগ দেন লালমনিরহাটের এক আওয়ামী লীগ নেতা।
লালমনিরহাট সদর থানায় হওয়া মামলায় ৮১জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ৩শত থেকে ৪শতজনকে আসামী করা হয়েছে।
বিএনপির ডাকা হরতাল ও সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর নিহত হওয়ার পরপরই গরম হয়ে লালমনিরহাটে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের রাজনীতি।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে উভয় দলের সমর্থকরা সরব উপস্থিতির জানান দিয়ে পোস্ট করছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা হত্যা মামলার অভিযোগ তদন্ত করে বিচার দাবি আর অন্যদিকে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকরা আইনি প্রক্রিয়ায় মামলা মোকাবেলা করবেন।
বুধবার (১ নভেম্বর) বিকালে লালমনিরহাট সদর থানায় হওয়া মামলার অভিযোগ দায়ের করেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজীর চওড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম খান (৪৫)। তিনি হারাটি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।
উক্ত এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, হত্যাকান্ডের শিকার জাহাঙ্গীর আলম তাঁর বাল্যবন্ধু। সে কারণে তিনি জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সম্মতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন, যাতে দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি নিশ্চিত হয়।
লালমনিরহাটের স্থানীয় শুলি সমাজের প্রতিনিধিরা জানান, শান্তি প্রিয় লালমনিরহাটে বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে জাহাঙ্গীর নিহত হওয়ার পরপরই উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো মূহুর্তে উভয়দলের মধ্যে সংঘর্ষের মত ঘটনাও ঘটতে পারে। সংঘর্ষ এড়াতে লালমনিরহাটের পুলিশ প্রশাসনকে সতর্ক অবস্থানে থাকার আহবান জানিয়েছেন।